বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের প্রথম বর্গটি হলো ক-বর্গ। এই বর্গে আছে পাঁচটি বর্ণ আছে যথা- ক, খ, গ, ঘ, এবং ঙ। আমরা স্বরবর্ণের পর ব্যঞ্জনবর্ণ টাইপ করার অভ্যাসে প্রবেশ করছি । স্বরবর্ণের মতো ব্যঞ্জনবর্ণেও সঠিক আঙ্গুল স্থাপন এবং কীবোর্ডে তাদের অবস্থান জানা অত্যন্ত জরুরি। এই লেসনে আমরা ক-বর্গের বর্ণগুলির উপর ফোকাস করব, যা সাধারণত কীবোর্ডের বিভিন্ন সারিতে ছড়িয়ে থাকে।
Table of Contents
ক বর্গের টাইপিং
সঠিকভাবে টাইপ করার জন্য, আপনার হাত দুটিকে কীবোর্ডের হোম-রো-তে (A, S, D, F এবং J, K, L, ; ) স্বাভাবিক অবস্থানে রাখতে হবে। আপনি যদি আরও বিশদে জানতে চান তবে ইংরেজি টাইপিং এর Home row typing tutorial দেখতে পারেন। বেশিরভাগ বাংলা টাইপিং লেআউটে, এই বর্ণগুলি টাইপ করার জন্য আপনাকে হোম-রো থেকে উপরের বা নিচের সারিতে আঙ্গুল সরাতে হতে পারে। এটি করার সময় মনে রাখবেন যেন আপনার আঙ্গুলগুলো দ্রুত তার হোম-রো অবস্থানে ফিরে আসে। এটি আপনার টাইপিং গতি এবং নির্ভুলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
আরও অন্যান্য অভ্যাস
টাইপিং এ সু-অভ্যাস
শুরুতে ধীরে ধীরে টাইপ করুন একদম নির্ভুলতা বজায় রেখে । প্রতিটি অক্ষর টাইপ করার সময় তার অবস্থান এবং কোন আঙ্গুল ব্যবহার করছেন তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। “ক” টাইপ করার পর “খ”, “গ” এভাবে প্রতিটি অক্ষরকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করুন। এই অনুশীলনে আমরা প্রথমে প্রতিটি বর্ণকে চার থেকে পাঁচবার পুনরাবৃত্তি করে টাইপ করব, যাতে অক্ষরগুলি আপনার আঙ্গুলের স্মৃতিতে গেঁথে যায়। এরপরে আমরা অক্ষরগুলিকে এলোমেলোভাবে সাজিয়ে অভ্যাস করব, যা বাস্তব টাইপিং পরিস্থিতিতে আপনার দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন, অভ্যাসই আপনাকে দক্ষ করে তুলবে। এই লেসনের টাইপিং টাস্কটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ করুন এবং আপনার টাইপিং গতি ও নির্ভুলতা উন্নত করার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করুন। ক-বর্গকে আয়ত্ত করতে পারলেই আপনি বাংলা টাইপিং-এর পরবর্তী চ বর্গ টাইপিং এর জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবেন। টাইপ করার সময় আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসুন এবং কীবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকানোর অভ্যাস করুন। আর অন্যান্য টাইপিং টাস্কের জন্য দেখতে পারেন Bengali Typing এর পেজ যেখানে সমস্ত অনুশীলন ও সময় নির্ভর পরিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।