আজকের পাঠে আমরা শিখব অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল) এবং ঊষ্ম বর্ণ (শ, ষ, স)। এই ছয়টি অক্ষর বাংলা ভাষায় প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। চলুন, আজকের পাঠ শুরু করা যাক।
আমাদের বাংলা টাইপিং কোর্সের অষ্টম দিনে আপনাকে স্বাগত। আপনি ইতিমধ্যেই বাংলা বর্ণমালার প্রধান পাঁচটি বর্গ (ক, চ, ট, ত, প) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। আজ আমরা কিছু ‘বর্গ বহির্ভূত’ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অক্ষর অনুশীলন করতে চলেছি।
Table of Contents
অন্তঃস্থ ও ঊষ্ম বর্ণ বর্পণ রিচিতি
আজকের পাঠে মোট ছয়টি অক্ষর রয়েছে: য, র, ল, শ, ষ, স। এই অক্ষরগুলি কিবোর্ডের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে, তাই আঙ্গুল ঠিক জায়গায় বসানো খুব জরুরী। এই পাঠের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ‘শ’ (তালব্য শ), ‘ষ’ (মূর্ধন্য ষ), এবং ‘স’ (দন্ত্য স) – এই তিনটি অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য করা। উচ্চারণে মিল থাকলেও, বাংলা বানানে এগুলির ব্যবহার সম্পূর্ণ আলাদা এবং কিবোর্ডেও এগুলি ভিন্ন ভিন্ন ‘কী’ (key) তে রয়েছে। অনুশীলনের সময় খুব সতর্কভাবে দেখুন কোন অক্ষরের জন্য কোনটি টাইপ করছেন।
যথার্থ টাইপিং ও গতি বৃদ্ধি কৌশল
এই পাঠে গতির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্ভুলতা (Accuracy)। বিশেষ করে ‘শ’, ‘ষ’, এবং ‘স’ টাইপ করার সময় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এই তিনটি অক্ষর বার বার অনুশীলন করুন, যেমন – ‘শ স ষ’ বা ‘স শ ষ’। ‘র’ এবং ‘ল’ অক্ষর দুটিও খুব বেশি ব্যবহৃত হয়। ‘র’ টাইপ করার পর আঙ্গুল যেন দ্রুত ‘হোম রো’-তে ফিরে আসে, সেইদিকে খেয়াল রাখুন।
আজকের এই টাইপিং অভ্যাস কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ জানাবেন। আর আপনি সমগ্র এই কোর্সের সূচীপত্র চান তবে অবশ্যই দেখতে পারেন বাংলা টাইপিং পেজ।
