আমাদের বাংলা টাইপিং কোর্সের চতুর্দশ দিনে আপনাকে স্বাগত। আশা করি আপনি আগের দিনের পাঠটি ভালোভাবে অনুশীলন করেছেন এবং ‘হসন্ত’ কী-এর প্রাথমিক ব্যবহার বুঝতে পেরেছেন। যুক্তাক্ষর হলো বাংলা টাইপিং-এর প্রাণ। আজ আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাব এবং কিছু নতুন যুক্তাক্ষর টাইপ করা শিখব।
এই পাঠে আমরা চ-বর্গ এবং ত-বর্গের কিছু বহুল ব্যবহৃত যুক্তবর্ণ অনুশীলন করব।
Table of Contents
যুক্তাক্ষর গঠনরীতি
আগের দিনের মতোই, আমরা ‘হসন্ত’ কী (সাধারণত ‘G’ বা ‘H’ কী) ব্যবহার করব। নিয়মটি একই: প্রথম অক্ষর + হসন্ত + দ্বিতীয় অক্ষর। আজ আমরা নিচের যুক্তাক্ষরগুলি শিখব। মনোযোগ দিয়ে দেখুন কোনটি কীভাবে গঠিত হয়েছে:
- চ্চ = চ + হসন্ত + চ
- চ্ছ = চ + হসন্ত + ছ
- জ্জ = জ + হসন্ত + জ
- ঞ্চ = ঞ + হসন্ত + চ
- ঞ্জ = ঞ + হসন্ত + জ
- ত্ত = ত + হসন্ত + ত
- ত্র (ত-ফলা) = ত + হসন্ত + র
- ত্ব (ব-ফলা) = ত + হসন্ত + ব
- দ্ধ = দ + হসন্ত + ধ
- দ্ম = দ + হসন্ত + ম
নির্ভুলভাবে ফলা-চিহ্ন টাইপ করা
এই পাঠে ‘ত্র’ (ত-ফলা) এবং ‘ত্ব’ (ব-ফলা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘পত্র’ বা ‘ছাত্র’ বানানে ‘ত্র’ এবং ‘ত্বক’ বা ‘সত্ত্বা’ বানানে ‘ত্ব’ ব্যবহৃত হয়। এগুলিও ‘হসন্ত’ দিয়েই টাইপ করতে হয়। ‘দ্ধ’ (যেমন ‘যুদ্ধ’) এবং ‘দ্ম’ (যেমন ‘পদ্ম’) অক্ষর দুটিও খুব সাবধানে টাইপ করতে হবে। গতি নিয়ে একদম ভাববেন না। আপনার একমাত্র লক্ষ্য হবে সঠিক ক্রমে ‘কী’ টিপে নির্ভুল যুক্তাক্ষরটি তৈরি করা।
এই অক্ষরগুলি আয়ত্ত করতে পারলে আপনি বাংলা ভাষার একটি বিশাল অংশ টাইপ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন। অনুশীলন শেষ হলে, আপনি বাংলা টাইপিং টেস্ট পেজে গিয়ে আপনার দক্ষতা পরীক্ষা করতে পারেন।
