আমাদের বাংলা টাইপিং কোর্সের ত্রয়োদশ দিনে আপনাকে স্বাগত জানাই। আপনি সফলভাবে বাংলা বর্ণমালার সমস্ত মূল অক্ষর, সংখ্যা এবং চিহ্ন শেখা সম্পন্ন করেছেন। আজ থেকে আমরা কোর্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি শুরু করতে যাচ্ছি, সেটি হলো ‘যুক্তাক্ষর’ টাইপিং।
বাংলা ভাষায় যুক্তাক্ষর ছাড়া লেখা প্রায় অসম্ভব। প্রথমদিকে এটি সামান্য জটিল মনে হলেও, আসলে এটি শুধু একটি নতুন কৌশলের ব্যাপার। আজ আমরা সেই কৌশলটিই শিখব।
Table of Contents
‘হসন্ত’ (Hasant) কী-এর ব্যবহার
যুক্তাক্ষর হলো দুটি বা তার বেশি ব্যঞ্জনবর্ণের মিলিত রূপ। কিবোর্ডে এই মিলিত রূপটি তৈরি করার জন্য আমরা একটি বিশেষ ‘কী’ (Key) ব্যবহার করি, যাকে ‘হসন্ত’ বলা হয়। (এটি সাধারণত ‘G’ বা ‘H’ কী-তে থাকে)।
নিয়মটি খুবই সহজ: প্রথম অক্ষর + হসন্ত + দ্বিতীয় অক্ষর।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ‘ক্ত’ (যেমন ‘রক্ত’ বানানে) টাইপ করতে চান, আপনাকে প্রথমে ‘ক’ টাইপ করতে হবে, তারপর ‘হসন্ত’ কী টিপতে হবে, এবং সবশেষে ‘ত’ টাইপ করতে হবে।
আজ আমরা এই সহজ দুই-অক্ষরের যুক্তবর্ণগুলি অনুশীলন করব:
- ক্ত = ক + হসন্ত + ত
- ক্র (র-ফলা) = ক + হসন্ত + র
- ক্ল (ল-ফলা) = ক + হসন্ত + ল
- ক্ক = ক + হসন্ত + ক
- ঙ্ক = ঙ + হসন্ত + ক
- ঙ্গ = ঙ + হসন্ত + গ
- গ্ধ = গ + হসন্ত + ধ
বর্তমান টাইপিং স্তরে যাতে মনোযোগ দিতে হবে
যুক্তাক্ষর টাইপ করার সময় গতি (Speed) আপনার প্রথম লক্ষ্য নয়। আপনার প্রথম লক্ষ্য হলো নির্ভুলতা (Accuracy)। ভুল ‘হসন্ত’ ব্যবহার করলে বা ভুল ক্রমে অক্ষর টিপলে সম্পূর্ণ শব্দটিই ভুল হয়ে যাবে। তাই খুব ধীরে, কিন্তু সঠিকভাবে অনুশীলন শুরু করুন। ‘ক্র’ (র-ফলা) এবং ‘ক্ল’ (ল-ফলা) এই দুটি বহুল ব্যবহৃত ফলা-চিহ্নও ‘হসন্ত’ দিয়েই টাইপ করা হয় (যেমন: ক + হসন্ত + র = ক্র)।
ধৈর্য ধরুন। এই পাঠটি আপনার টাইপিং দক্ষতাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাবে। অনুশীলন শেষ হলে, আপনি বাংলা টাইপিং টেস্ট পেজে গিয়ে আপনার দক্ষতা পরীক্ষা করতে পারেন।
